...
কৃষ্ণচূড়া তোমার এ নাম কে দিয়েছে , কে ?
মিশকালো না হয়ে যদি লাল হয়ে ফুটবে,
আলতা রঙে এমন যদি সাজবেই বারবার,
তোমার কেন কৃষ্ণচূড়া নাম হয়েছে আর ?
লাল পরাগে ডাল রাঙিয়ে; রাঙিয়ে নিজের মুখ
আমার মাকে কাঁদিয়ে তোমার কেমন বলো সুখ,
কী সুখ বলো মায়ের মনে ঝলকে তুলে আজ ?
ভাই হারানো বোন হারানো আগুন-ছবির ভাঁজ।
নিজ্ঝুম এক রাতের বেলা মা দিয়েছেন ঘুম
দাদার চোখে আলোর ধাঁধা , ঘুম দিলো না চুম,
মাকে রেখে তখন আমার দাদা সূর্য সেন
পুব আকাশে উঠব বলে পশ্চিমে ডুবলেন।
প্রীতিলতা নাম শুনেছো ? সে যে আমার বোন,
রঙ তুলিতে দেশ আঁকতো, আঁকতো ঘর উঠোন,
এঁকেই তুলি ক্ষয় করেছে, জয় করেছে ভয়,
প্রীতিলতার সে সব স্মৃতি পরম প্রীতিময়।
ভাইয়ের কথা বলবো আরো, শুনবে কি তারপর ?
সবুজ মাঠে নামলো যখন জমকালো নীলকর
ধানের গানে প্রাণের বাঁশি বাজিয়ে তিতুমীর
মরণ বরণ করলো, তবু রাখলো উঁচু শির।
আমার ছিলো আর এক ভাই, জানো কি তার নাম ?
দুরন্ত সেই উড়ন্ত নীলকণ্ঠ ক্ষুদিরাম,
আগল ভাঙা পাগল হাওয়ার জন্যে বারো মাস
যুদ্ধ করে জড়িয়ে নিলো গলায় রুদ্ধশ্বাস।
আমার আরো দুই সোনা ভাই- আসাদ মতিয়ুর,
মিছিল নিয়ে পেরিয়ে গেলো রক্ত-সমুদ্দুর।
বর্ণমালায় স্বর্ণমালা গাঁথতে গেলো সেই
রফিক, সালাম কেউ আসে নি, বাড়িতে কেউ নেই।
নিঝাপ পাড়া মেঘলা দুপুর একলা আমার মা,
কৃষ্ণচূড়া লাল হয়ে আর কষ্ট দিয়ো না।
...
Friday, November 20, 2009
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment