...
মাঠ একা শুয়ে আছে মাঠে
ঘাট বলে, নৌকা ভেড়াও
মেঘের কাঁচুলি খুলে দূরের দিগন্ত ডাকে কাছে
স্তন বলে, মুঠোবন্দি করো
মন বলে, হও বীর্যবান
জীবিকাচাতুর্য আছে; প্রেম নেই তোমাদের কাচের শহরে
ক্ষেমানন্দ অস্ত গেছে, সঙ্গে গেছে খাগের কলম
বেহুলারও ভেলা নেই, লখিন্দর চিতায় উঠেছে
মনসাকে পূজা দিয়ে মুর্চ্ছা গেছে চাঁদসদাগরও
বন্দরে চক্রান্ত, দূরে সারি সারি বর্গীর জাহাজ
পুবের উঠোনে ফের পশ্চিমের ঘুঘুরা নেমেছে
নদীশাসনের তোড়ে মজে গেছে গাঙুরের ধারা
ভাঁড়ারে বর্গীর ছায়া, উঠোনে মনসা তোলে ফণা
কে দেবে পাহারা, বলো, সনকারও ছানিপড়া চোখ
কবির স্বপ্নের ধানে মই দেয় চেঙমুড়ী কানী
চম্পকনগর ভেঙে তৈরি হচ্ছে কাচের শহর
না থাকুক ক্ষেমানন্দ, কবি আমি, ফিরে-ফিরে আসি
যুগে-যুগে আমিই ফিরেছি
বহু বহু যুগ থেকে কতশত অভিজ্ঞতা নিয়ে
আবারও এসেছি ফিরে তোমাদের কাচের শহরে
একদা এখানে ছিল মাঠ-মাঠ চম্পকনগর
এখন কেবলই মরিচিকা
যা ঘটে পুনরাবৃত্তি; পার্থক্য কেবল প্রকরণে
শোনো হে বিভ্রান্ত কাল, কাচের শহরবাসী, শোনো
বলি, শোনো, চন্দ্রধর বণিকের কথা
হাতে যার হেঁতালের লাঠি
চোখে যার গোলাভরা স্বপ্ন রাশি রাশি
শোনো, শোনো, অনাগত কাল
হেঁতালের আতঙ্ক ছিল মনসারও, শোনো
সে-লাঠিতে তিতুমীরও গর্জে উঠেছিল তার বাঁশের কেল্লায়
মুজিবের ডাকে লাঠি ঘরে-ঘরে দুর্গ হয়েছিল
ভাঙো নিদ্রা, জাগো প্রেম, কবি এসে গেছে
এই নাও হেঁতালের লাঠি
মুঠো যেন আলগা কোরো না কোনও উর্দিপরা নাগের ধমকে
এই নাও স্বপ্নমাখা চোখ
ভাঁড়ারে নজর রাখো, হেঁতালে পতাকা হয়ে ওড়ো
এই নাও ভাতমাখা হাত
আমৃত্যু হেঁতালে মাখো তেভাগার রক্তমাখা প্রেম
দেব না দেব না হতে চম্পকনগরে কোনও কাচের শহরে...
চম্পকনগরে কবি কাচের শহর হতে দেবে না দেবে না...
...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment