...
আমার স্বপ্নের সেই সোনালী বৃদ্ধকে আমি
অভিবাদন জানাবো
যিনি আমাকে তাঁর দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে
দিন দিন শিক্ষিত করে তোলেন, যিনি
তাঁর কোঁচকানো চামড়ার ভাঁজ
একটি একটি করে খোলেন, আর
আমাকে দেখান
মানুষের কব্জীর যাবতীয় কাজ ও কারুকাজ
তিনি দেখান আর বলেন কোমল স্বরে
শ্রেনীযুদ্ধের ইতিহাসই মানুষের ইতিহাস
আমার চোখের সামনে একেকটি প্রাচীন গুহামুখ
খুলে যায় নিঃশব্দে
বৃদ্ধের দুই চোখ জ্বলে ওঠে
মোমবাতির শিখার মত সাবলীল নরোম আলোয়
আমি শতাব্দীর পর শতাব্দী
লক্ষ বছর ধরে হেঁটে যাই পা গুণে গুণে
চোখে খোলা তলোয়ারের ঝিলিক
আঙুল জ্যামিতিক কাঁটার মত নির্ভুল, আর
নিঃশ্বাস পিঁপড়ের চেয়েও বে স্পর্শপ্রবণ
প্রত্যেক যাত্রার শেষে সেই সৈম্যবৃদ্ধ বলেন
মানুষের ইতিহাস ক্রমশ এগোয় সম্মুখে
সমৃদ্ধতর এবং বেঁচে থাকার দিকে
আমি স্বপ্ন থেকে জেগে উঠি, মুহূর্তেই শিখে ফেলি
মানুষের চেতনা যতোই স্বপ্নাবৃত থাক
একদিন এই স্বপ্ন ভাঙবেই
স্বদেশের মানুষেরা ফিরে আসবে মাতৃভূমির স্বাধীনতার দিকে
এবং
রৌদ্রের বিপরীত ঝিলিকে ঝিলিকে উঠবে জীবনের চোখ
আমি
স্বাধীনতার তুমুল লড়াই শেষে
করমর্দন করবো আমার স্বপ্নের সেই সোনালী বৃদ্ধকে
আমি তাঁকে জানাবো অভিবাদন
যাঁর নির্দেশে
রাত্রি শেষের মোরগের মতো ডেকে ওঠে আমার জীবন
...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment